Banglalogo.png


আমরা বিশ্বাস করি

আল্লাহ্‌র কালাম কখনোও ভাঙ্গা, বিকৃত কিংবা বদলানো যায় না।

আল্লাহ্‌র প্রতিজ্ঞা অনুসারে, আমরা বিশ্বাস করি যে সমস্ত রাসুল ও নবীদের কাছে প্রকাশিত তাঁর কালাম সম্পূর্ণভাবে সংরক্ষিত এবং অবিকৃত আছে। ঈসা আল-মসীহ্‌ বলেছেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, আসমান ও জমীন শেষ না হওয়া পর্যন্ত, যতদিন না তৌরাত কিতাবের সমস্ত কথা সফল হয় ততদিন সেই তৌরাতের এক বিন্দু কি এক মাত্রা মুছে যাবে না।“১,২ নবী ইশাইয়ার কাছে যেমন প্রকাশিত হয়েছিল, “ঘাস শুকিয়ে যায় আর ফুলও ঝরে যায়, কিন্তু আমাদের আল্লাহ্‌র কালাম চিরকাল থাকে।“ আলহামদুলিল্লাহ্‌! আমরা জানি যে আল্লাহ্‌ তাঁর প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেন। তাঁর কালাম কখনোও পরিবর্তিত হয় না এবং তা চিরকাল থাকবে।৪,৫,৬

[১] মথি ৫:১৮ “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, আসমান ও জমীন শেষ না হওয়া পর্যন্ত, যতদিন না তৌরাত কিতাবের সমস্ত কথা সফল হয় ততদিন সেই তৌরাতের এক বিন্দু কি এক মাত্রা মুছে যাবে না।“
[২] লুক ১৬:১৭ “তবে তৌরাত কিতাবের এক বিন্দু বাদ পড়ার চেয়ে বরং আসমান ও জমীন শেষ হওয়া সহজ।“
[৩] ইশাইয়া ৪০:৮ “ঘাস শুকিয়ে যায় আর ফুলও ঝরে যায়, কিন্তু আমাদের আল্লাহ্‌র কালাম চিরকাল থাকে।“
[৪] সুরা আল-ইমরান ৩:২-৩ “তিনি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন সত্যতার সাথে, যা সত্যায়ন করে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের।“
[৫] সুরা আল-মায়িদা ৫:৬৮ “হে আহলে কিতাবগণ, তোমরা কোনো পথেই নও, যে পর্যন্ত না তোমরা তৌরাত, ইঞ্জিল এবং যে গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না করো।“
[৬] সূরা আল্‌ আন্‌’আম ৬:১১৫ “সত্যতা ও ইনসাফের দিক দিয়ে তোমার প্রতিপালকের বাণী পরিপূর্ণ। তাঁর বাণী পরিবর্তন করার কেউ নেই। আর তিনি হলেন সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।“

আল্লাহ্‌র কালামের প্রতি বাধ্যতা জীবনের উপচয় ও আনন্দের পূর্ণতা নিয়ে আসে।

আমরা সানন্দে আল্লাহ্‌র প্রতি বাধ্য হই এবং তাঁর কালাম মানি যা আমাদের জন্য শান্তি, আনন্দ১, স্বাধীনতা এবং জীবনের প্রচুরতা২ নিয়ে আসে। আল্লাহ্‌ তাঁর পছন্দ করা নবীদের মধ্য দিয়ে এমন এক দিনের কথা প্রতিজ্ঞা করেছেন যে দিন তাঁর লোকেদের নতুন, নম্র দিল দেওয়া হবে যা সেই সরল/একমাত্র পথে (আল-সিরাত আল-মুস্তাকিম) আনন্দ করবে। সেই দিন তাঁর হুকুমসকল তাদের কাছে ভারী বোঝার মত মনে হবে না, কারণ সেই হুকুমের প্রতি সম্পূর্ণ আনন্দ সহকারে বাধ্য হওয়ার শক্তি তাদেরকে দেওয়া হবে। ঈসা আল-মসীহ্‌, আল্লাহ্‌র কালাম (আল-কালিমাতুল্লাহ্‌), দৃঢ়ভাবে দাবি করেন যে তিনিই সেই প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করেন এবং যদি আমরা তাঁর প্রতি বাধ্য থেকে তাঁর উপরে বিশ্বাস করি, তবে আমরা সত্যিকারের রহমত এবং স্বাধীনতা খুঁজে পাবো।

[১] ইউহোন্না ১৫:১১ “এই সব কথা আমি তোমাদের বললাম যেন আমার আনন্দ তোমাদের অন্তরে থাকে ও তোমাদের আনন্দ পরিপূর্ণ হয়।“
[২] ইউহোন্না ১০:১০ “চোর কেবল চুরি, খুন, ও নষ্ট করবার উদ্দেশ্য নিয়েই আসে। আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায়, আর সেই জীবন যেন পরিপূর্ণ হয়।“
[৩] ইহিষ্কেল ১১:১৯-২০ “আমি তাদের এমন দিল দেব যা কেবল আমারই দিকে আসক্ত থাকবে, আর আমি তাদের মধ্যে নতুন রুহ্‌ দেব, আমি তাদের কঠিন দিল সরিয়ে দিয়ে নরম দিল দেব। তাহলে তারা আমার নিয়ম মত চলবে এবং আমার শরীয়ত যত্নের সংগে পালন করবে। তারা আমার বান্দা হবে এবং আমি তাদের আল্লাহ্‌ হব।“
[৪] মথি ৫:১৭ “এই কথা মনে কোরো না, আমি তৌরাত কিতাব আর নবীদের কিতাব বাতিল করতে এসেছি। আমি সেগুলো বাতিল করতে আসি নি বরং পূর্ণ করতে এসেছি।“
[৫] ইউহোন্না ৮:৩১-৩২ “যে ইহুদিরা তাঁর উপর ঈমান এনেছিল ঈসা তাদের বললেন, আমার কথামত যদি আপনারা চলেন তবে সত্যিই আপনারা আমার উম্মত। তা ছাড়া, আপনারা সত্যকে জনতে পারবেন, আর সেই সত্য আপনাদের মুক্ত করবে।“

বেহেশতে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা হলেন ঈসা আল-মসীহ্‌ (মশীহ)।

নবী ইব্রাহিম আল্লাহ্‌র প্রতি বাধ্য ও নম্র থেকে নিজের ছেলেকে কোরবানি দিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। নিজ রহমতেই, আল্লাহ্‌ প্রায়শ্চিত্তের (কাফফারা) উপায় যুগিয়ে দিলেন – ইব্রাহিমের ছেলের পরিবর্তে এক মহান কোরবানি। একই ভাবে, আল্লাহ্‌র প্রতি যাদের ঈমান আছে এবং যারা তাঁকে ভালোবাসে তাদের জন্য তিনি কোরবানি (খেসারত) হিসেবে ঈসা আল-মসীহ্‌-কে মরতে দিলেন। আল্লাহ্‌র ইচ্ছাতেই ঈসা আল-মসীহ্‌ অনেকের২ জন্য কাফফারা হিসেবে অনায়াসে নিজের জীবন কোরবানি দিলেন এবং ঘোষণা দিলেন যে তিনিই আল্লাহ্‌র কাছে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা। অনেকেই জান্নাতে/বেহেশতে প্রবেশ করার চেষ্টা করবে, কিন্তু রহমতের একটি মাত্রই দরজা আছে যেটি আল্লাহ্‌ই যুগিয়ে দিয়েছেন।৪,৫ যারা আল্লাহ্‌ এবং তাঁর দেখানো রহমতের রাস্তার উপরে নিজেদের ঈমান আনে, তারা তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার আশ্বাস পাবার সাথে সাথে গুনাহ্‌ ও লজ্জা থেকেও পরিষ্কৃত হয়। তারা ধার্মিকতার/পরহেজগারির এমন পোশাক পায় যা কখনোও পুরাতন হয় না, যেটি আল্লাহ্‌ তাদেরকে দেন যারা তাঁর উপরে ঈমান রাখে। তারা বেহেশতে যাওয়ার সোজা রাস্তা খুঁজে পায়, যে রাস্তা সরু কিন্তু আনন্দে পূর্ণ। তারা চিরকালীন তরিকাবন্দী পায় এবং জানে যে তাদের মোনাজাত সবসময় কবুল হচ্ছে। তারা মৃত্যুর ভয়১০ থেকে স্বাধীন হয় এবং “তাদের নাম বেহেশতে লেখা আছে জেনে সেই নিশ্চয়তায় আনন্দ করে।“১১

[১] আল-ইমরান ৩:৫৫ “স্মরণ কর, যখন আল্লাহ্‌ বললেন, হে ঈসা! নিশ্চয় আমি তোমাকে পরিগ্রহণ করবো, তোমাকে আমার দিকে উঠিয়ে নেব।“
[২] মার্ক ১০:৪৫ “মনে রেখো, ইব্‌নে-আদম সেবা পেতে আসেন নি বরং সেবা করতে এসেছেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসেবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছেন।“
[৩] ইউহোন্না ১৪:৬ “ঈসা জবাব দিলেন, ‘আমিই পথ, সত্য আর জীবন। আমার মধ্য দিয়ে না গেলে কেউই পিতার কাছে যেতে পারে না’।“
[৪] লুক ১৩:২৪ “তখন ঈসা লোকেদের বললেন, সরু দরজা দিয়ে ঢুকতে প্রাণপণে চেষ্টা করুন। আমি আপনাদের বলছি, অনেকেই ঢুকতে চেষ্টা করবে কিন্তু পারবে না।“
[৫] ইউহোন্না ১০:৯ “আমিই দরজা। যদি কেউ আমার মধ্য দিয়ে ভিতরে ঢোকে তবে সে নাজাত পাবে। সে ভিতরে আসবে ও বাইরেও যাবে আর চরে খাবার জায়গা পাবে।“
[৬] ইউহোন্না ৬:৪০ “আমার পিতার ইচ্ছা এই, আপনাদের মধ্যে যারা পুত্রকে দেখে তাঁর উপর ঈমান আনেন তারা যেন আখেরী জীবন পান। আর আমিই তাঁদের শেষ দিনে জীবিত করে তুলবো।“
[৭] আল-আরাফ ৭:২৬ “হে বনী-আদম, আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবতীর্ণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেজগারির পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহ্‌র কুদরতের অন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।“
[৮] মথি ৭:১৩-১৪ “সরু দরজা দিয়ে ঢোকো, কারণ যে পথ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায় তার দরজাও বড় এবং রাস্তাও চওড়া। অনেকেই তার মধ্য দিয়ে ঢোকে। কিন্তু যে পথ জীবনের দিকে নিয়ে যায় তার দরজাও সরু, পথও সরু। খুব কম লোকেই তা খুঁজে পায়।“
[৯] ইবরানী ৯:১৩-১৪ “যারা নাপাক হত তাদের উপর ছাগল ও ষাঁড়ের রক্ত বা বাছুর-পোড়ানো ছাই ছিটানো হত, তাতে তাদের বাইরের শরীরটাই কেবল পাক-সাফ হয়ে পরিষ্কার হত। কিন্তু যিনি অনন্ত পাক-রুহের মধ্য দিয়ে আল্লাহ্‌র কাছে নিজেকে নিখুঁত কোরবানি হিসেবে দান করলেন সেই ঈসার রক্ত আমাদের বিবেককে নিষ্ফল কাজকর্ম থেকে আরও কত না বেশী করে পাক-সাফ করবে, যাতে আমরা জীবন্ত আল্লাহ্‌র এবাদত করতে পারি।“
[১০] ইবরানী ২:১৪-১৫ “সেই সন্তানেরা হল রক্ত-মাংসের মানুষ। সেইজন্য ঈসা নিজেও রক্ত-মাংসের মানুষ হলেন, যাতে মৃত্যুর ক্ষমতা যার হাতে আছে সেই ইবলিশকে তিনি নিজের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শক্তিহীন করেন, আর মৃত্যুর ভয়ে যারা সারা জীবন গোলামের মত কাটিয়েছে তাদের মুক্ত করেন।“
[১১] লুক ১০:২০ “কিন্তু ভূতেরা তোমাদের কথা শোনে বলে আনন্দিত হয়ো না বরং বেহেশতে তোমাদের নাম লেখা হয়েছে বলে আনন্দিত হয়ো।“

ঈসা আল-মসীহ্‌ এসেছিলেন যেন গুনাহ্‌গারেরা বিশ্রাম ও ক্ষমা পায়।

Sঈসা আল-মসীহ্‌ বলেন, “তোমরা যারা ক্লান্ত ও বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছ, তোমরা সবাই আমার কাছে এসো, আমি তোমাদের বিশ্রাম দেবো। আমার জোয়াল তোমাদের উপর তুলে নাও ও আমার কাছ থেকে শেখো, কারণ আমার স্বভাব নরম ও নম্র..... যে কেউ আমার কাছে আসে তাকে আমি কখনোও তাড়িয়ে দেবো না।” যারা নম্রভাবে তাঁর কাছে আসে তাদেরকে তিনি গ্রহণ করেন, কারণ যারা হারিয়ে গেছে তাদের খুঁজতে এবং অনেকের গুনাহে্‌র কাফফারা হিসেবে নিজের জীবন দিতেই ঈসা আল-মসীহ্‌ এসেছিলেন। তিনি আনন্দিত হন যখন মানুষ তাঁর কাছে আসে। তাঁর কাছ থেকে তাঁর জীবন কেড়ে নেওয়া হয় নি, তিনি স্বেচ্ছায় তা দিয়েছেন, যেন দুনিয়া আল্লাহ্‌র মহব্বতের গভীরতা জানতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ্‌! আল্লাহ্‌র চেয়ে মহান আর কেউ নেই। তাঁর চেয়ে গভীর মহব্বত আর কেউই করতে পারে না!

[১] মথি ১১:২৮-৩০ “তোমরা যারা কান্ত ও বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছ, তোমরা সবাই আমার কাছে এসো, আমি তোমাদের বিশ্রাম দেবো। আমার জোয়াল তোমাদের উপর তুলে নাও ও আমার কাছ থেকে শেখো, কারণ আমার স্বভাব নরম ও নম্র। এতে তোমরা দিলে বিশ্রাম পাবে, কারণ আমার জোয়াল বয়ে নেওয়া সহজ ও আমার বোঝা হালকা।“
[২] ইউহোন্না ৬:৩৭ “পিতা আমাকে যাদের দেন তারা সবাই আমার কাছে আসবে। যে আমার কাছে আসে আমি তাকে কোনমতেই বাইরে ফেলে দেবো না।“ [৩] লুক ১৯:১০ “যারা হারিয়ে গেছে তাদের তালাশ করতে ও নাজাত করতেই ইবনে্‌-আদম এসেছেন।“
[৪] মার্ক ১০:৪৫ “মনে রেখো, ইবনে্‌-আদম সেবা পেতে আসেন নি বরং সেবা করতে এসেছেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসেবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছেন।“
[৫] জবুর ১৮:১৬,১৯ “তিনি উপর থেকে হাত বাড়িয়ে আমাকে ধরলেন, গভীর পানির মধ্য থেকে আমাকে টেনে তুললেন। তিনি আমাকে একটা খোলা জায়গায় বের করে আনলেন, আমার উপরে সন্তুষ্ট ছিলেন বলেই তিনি আমাকে উদ্ধার করলেন।“
[৬] ইউহোন্না ১০:১৭-১৮ “পিতা আমাকে এইজন্য মহব্বত করেন, কারণ আমি আমার প্রাণ দেবো যেন তা আবার ফিরিয়ে নিতে পারি। কেউই আমার প্রাণ আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবে না, কিন্তু আমি নিজেই তা দেবো। প্রাণ দেবারও ক্ষমতা আমার আছে, আবার প্রাণ ফিরিয়ে নেবারও ক্ষমতা আমার আছে। এই দায়িত্ব আমি আমার পিতার কাছ থেকে পেয়েছি।“
[৭] ইউহোন্না ৩:১৬-১৭ “আল্লাহ্‌ মানুষকে এত মহব্বত করলেন যে, তাঁর একমাত্র পুত্রকে তিনি দান করলেন, যেন যে কেউ সেই পুত্রের উপর ঈমান আনে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু আখেরী জীবন পায়। আল্লাহ্‌ মানুষকে দোষী প্রমাণ করবার জন্য তাঁর পুত্রকে দুনিয়াতে পাঠান নি, বরং মানুষ যেন পুত্রের দ্বারা নাজাত পায় সেইজন্য তিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন।“

আল্লাহ্‌র দেওয়া একমাত্র রাস্তা খুব দামী, কিন্তু যে কোনো ক্ষতির ঊর্ধ্বে।

দামী হওয়া সত্ত্বেও যারা সত্যকে ভালোবাসে ও খোঁজে, ঈসা আল-মসীহ্‌ তাদের ধন্য বলেছেনঃ তিনি বলেছেন, “মোবারক তোমরা, যখন লোকে আমার জন্য তোমাদের অপমান করে ও জুলুম করে ও মিথ্যা করে তোমাদের নামে সব রকম খারাপ কথা বলে। তোমরা আনন্দ কোরো ও খুশি হোয়ো, কারণ বেহেশতে তোমাদের জন্য মহা পুরষ্কার আছে। তোমাদের আগে যে নবীরা ছিলেন, লোকে তাঁদেরও এইভাবে জুলুম করত.... তোমাদের মা-বাবা, ভাই-বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনেরা তোমাদের ধরিয়ে দেবে। তারা তোমাদের কাউকে কাউকে হত্যাও করবে। আমার জন্য সবাই তোমাদের ঘৃণা করবে, কিন্তু কোনমতেই তোমাদের একটা চুলও ধ্বংস হবে না। তোমরা স্থির থাকলে তোমাদের সত্যিকারের জীবন পূর্ণতা লাভ করবে।“২,৩ সকল দুনিয়ার পালনকর্তা, যার কাছে সমস্ত সুখ ও আনন্দ আছে, তাঁর পথে চলার জন্য যা দাম দিতে হয় তিনি যে সবেরই যোগ্য। তিনিই একমাত্র যোগ্য। তিনিই সবচেয়ে মহান। এখনও যখন আমরা তাঁর স্বর শুনতে পাই, আমরা যেন তাঁর কালামে ও তাঁর রহমতের পথে নিজেদেরকে সমর্পণ করি। মাশাল্লাহ্‌। যাদেরকে পথ দেখানো হয়েছে তাদের কোনো ভালো জিনিসের অভাব হয় না।

[১] মথি ৫:১১-১২ “মোবারক তোমরা, যখন লোকে আমার জন্য তোমাদের অপমান করে ও জুলুম করে ও মিথ্যা করে তোমাদের নামে সব রকম খারাপ কথা বলে। তোমরা আনন্দ কোরো ও খুশি হোয়ো, কারণ বেহেশতে তোমাদের জন্য মহা পুরষ্কার আছে। তোমাদের আগে যে নবীরা ছিলেন, লোকে তাঁদেরও এইভাবে জুলুম করত।“
[২] লুক ২১:১৬-১৯ “তোমাদের মা-বাবা, ভাই-বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনেরা তোমাদের ধরিয়ে দেবে। তারা তোমাদের কাউকে কাউকে হত্যাও করবে। আমার জন্য সবাই তোমাদের ঘৃণা করবে, কিন্তু কোনমতেই তোমাদের একটা চুলও ধ্বংস হবে না। তোমরা স্থির থাকলে তোমাদের সত্যিকারের জীবন পূর্ণতা লাভ করবে।“
[৩] মথি ১৯:২৯ “আর যে কেউ আমার জন্য বাড়ি-ঘর, ভাই-বোন, মা-বাবা, ছেলে-মেয়ে কিংবা জায়গা-জমি ছেড়ে দিয়েছে, সে তার একশো গুণ বেশি পাবে আর আখেরী জীবনও পাবে।“
[৪] জবুর ১৬:১১ “জীবনের পথ তুমি আমাকে শিখিয়েছ, তোমার দরবারে থাকায় আছে পরিপূর্ণ আনন্দ আর তোমার ডান পাশে রয়েছে চিরকালের সুখ।“
[৫] ইউহোন্না ১৪:৬ “ঈসা জবাব দিলেন, ‘আমিই পথ, সত্য আর জীবন। আমার মধ্য দিয়ে না গেলে কেউই পিতার কাছে যেতে পারে না’।“
[৬] দ্বিতীয় বিবরণ ১০:২১ “তিনিই তোমাদের প্রশংসা, তিনিই তোমাদের আল্লাহ্‌। তোমরা নিজেদের চোখে যে সব মহৎ ও ভয় জাগানো কুদরতি দেখেছ তা তিনি তোমাদের জন্যই করেছেন।“


ইন্সটাগ্রাম


যোগাযোগ

আপনি যদি কোনো বিষয়ে কথা বলতে বা ইঞ্জিল নিতে আগ্রহী হন, তবে আপনার যোগাযোগের ঠিকানা আমাদেরকে দিন অথবা আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে মেসেজ করুন।